Friday, January 15, 2016

এক ফোঁটা রক্তেই ক্যানসার শনাক্ত!

এক ফোঁটা রক্তেই ক্যানসার শনাক্ত!




এক ফোঁটা রক্তে ক্যানসার শনাক্ত করা যাবে।মাত্র এক ফোঁটা রক্ত পরীক্ষা করেই চিকিৎসকেরা ক্যানসার শনাক্ত করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের জিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইলুমনিয়া এক ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করছে, যার মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্ত করতে এক ফোঁটা রক্তই যথেষ্ট হবে। গবেষকদের দাবি, বর্তমানে স্তনের ক্যানসার শনাক্তে ম্যামোগ্রাম করতে হয়, কিন্তু নতুন প্রযুক্তির কল্যাণে সামান্য রক্ত পরীক্ষায়ই তা ধরা যাবে।
এই প্রযুক্তি উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তাঁরা রক্ত পরীক্ষায় ক্যানসার নির্ণয়ের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছেন। এই প্রযুক্তি উন্নয়নে ‘গ্রেইল’ নামের একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন তাঁরা। স্তন, ফুসফুস বা প্রোস্টেট ক্যানসারসহ যেকোনো ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করতে রক্ত পরীক্ষার প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। এর লক্ষ্য হবে, সুস্থ দেহে ক্যানসারের কোনো উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে, বিশেষ করে টিউমার হওয়ার আগে তা শনাক্ত করা।
অবশ্য অন্য গবেষকেরা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যানসার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে সুস্থ থাকা অবস্থায় ক্যানসারের লক্ষণ বুঝতে পারা দারুণ কাজ হবে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। জিন বিশ্লেষণ করে ক্যানসার শনাক্ত করার এই প্রযুক্তির নাম লিকুইড বায়োপসি। টিউমার বায়োপসি করেও ক্যানসার শনাক্ত করা যায়। তবে তা অনেক দেরি হয়ে যায় বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইনস্টিটিউট ও লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন।
গবেষকেরা বলেন, একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার ধরা পড়ার একটি খারাপ দিকও আছে। কিছু ক্যানসার মোটেও মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করে না। কিন্তু এ ক্যানসারের চিকিৎসা করতে গেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ইলুমিনার প্রধান নির্বাহী জে ফ্ল্যাটলি বলেন, ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে ক্যানসার-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সমাধান করবে নতুন কোম্পানি গ্রেইল।
ফ্ল্যাটলি বলেন, ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখন থেকে একটি নতুন মোড় নিল। সামান্য রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার নির্ণয়ের সক্ষমতা মানুষের ক্যানসারে মৃত্যুর হার কমাবে।
মাত্র আট মাস আগে লন্ডনে ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের গবেষকেরা রক্ত পরীক্ষায় স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার একটি পরীক্ষা চালিয়ে সফলতার দাবি করেছিলেন। তথ্যসূত্র: টেলিগ্রাফ

অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার ১৫ বছর পূর্তি


উইকিপিডিয়াআজ ১৫ জানুয়ারি ১৫ বছর পূর্তি হচ্ছে অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার। নানা উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালন করছে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ। বাংলাদেশে উইকিপিডিয়ার প্রশাসক নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, ১৫ বছর পূর্তিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজন করা হচ্ছে উইকিপিডিয়ার নিবন্ধ লেখকদের নিয়ে বিশেষ আলোচনা। সারা দেশ থেকে ১০০ জনের বেশি নিবন্ধকার এতে যোগ দিচ্ছেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মোস্তফা সরওয়ার ফারুকি ও তিশা।
নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হবে। এ ছাড়া সারা দেশের উইকিপিডিয়ানদের মধ্যে সেরা নিবন্ধ লেখকরা পুরস্কার পাবেন। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৭০০ টি নতুন নিবন্ধ লেখা হয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, তহবিল সংগ্রহের পাশাপাশি আরেকটি উৎস থেকে অর্থের যোগান পাচ্ছে উইকিপিডিয়া।
২০০১ সালের ১৫ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে উইকিপিডিয়া। এ সাইটটিতে কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না। দাতাদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করে পরিচালিত হয় উইকিপিডিয়া।

টাইপ শেখার সহজ কৌশল

টাইপ শেখার সহজ কৌশল


কিবোর্ড ব্যবহার করে দ্রুত টাইপ করতে হলে অনুশীলনের বিকল্প নেই।দ্রুত টাইপ করতে পারাটা এখন একটি দক্ষতা। হালে এ দক্ষতার কদর রয়েছে। দ্রুত টাইপ করতে না পারায় অনেক সময়ের অপচয় হয়। সংক্ষেপে যদি দ্রুত টাইপ করার ‘গোপন রহস্য’ প্রকাশ করতে বলা হয়, তবে মনে রাখতে হবে যে এর জন্য আসলে তেমন কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। তবে কিছু পথ আছে, যার মাধ্যমে টাইপ করার দক্ষতাকে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে বাড়িয়ে নেওয়া যায়।

১. আরামদায়ক জায়গা:
দ্রুত টাইপ করার জন্য চাই উপযোগী ও স্বস্তিকর জায়গা। খোলামেলা ও আরামদায়ক জায়গা হলে দ্রুত টাইপ করতে সুবিধা হয়। ল্যাপটপে বা কিবোর্ড নিয়ে দ্রুত টাইপ করতে গেলে তা কোলের ওপর রাখার চেয়ে টেবিলের ওপর রেখে করলে দ্রুত কাজ হবে।

২. ঠিক হয়ে বসা:
দ্রুত টাইপ করার জন্য ঠিক হয়ে বসা জরুরি। সোজা হয়ে বসে কবজি যাতে কিবোর্ড বরাবর থাকে, এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে আঙুল কিগুলো ঠিকমতো চালাতে পারবেন। বেশি ঝুঁকে টাইপ না করাই ভালো। আরামদায়ক উচ্চতায় বসে টাইপ করলে দ্রুত টাইপ করা যাবে।

৩. হাত সঠিক স্থানে রাখুন:
কিবোর্ডের ওপর ঠিকমতো হাত না রাখার ফলে দ্রুত টাইপ করা যায় না। ভুলভাবে কিবোর্ডের ওপর হাত রাখার ভুলটিই বেশি দেখা যায়। তাই কিবোর্ডে আঙুল রাখার নিয়মটি মনে রাখতে পারেন। বাঁ হাতের তর্জনীতে রাখুন ‘এফ’ কি, মধ্যমাতে ‘ডি’, অনামিকাতে ‘এস’, কড়ে আঙুলে ‘এ’। ডান হাতের তর্জনী রাখুন ‘জে’, মধ্যমাতে ‘কে’, অনামিকাতে ‘এল’ ও কড়ে আঙুল রাখুন ‘সেমিকোলন’ কিতে। বাঁ ও ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুল রাখুন স্পেস বারে। কিবোর্ড ব্যবহার করে দ্রুত টাইপ করতে হলে অনুশীলনের বিকল্প নেই।

৪. অনুশীলন শুরু:
আঙুল ঠিকমতো রাখার পর বিভিন্ন শব্দ টাইপ করতে থাকুন। অনুশীলন চালিয়ে যান। শুরুতে যে কিগুলোতে আঙুল রেখেছেন, তা চেপে টাইপ শুরু করুন। ‘এএসডিএফ(asdf)’ এরপর স্পেস দিয়ে ‘জেকেএল;(jkl;) ’ এরপর বড় হাতের অক্ষরে এ অক্ষরগুলো টাইপ করার চেষ্টা করুন। এরপর নিচের সারির কিগুলোতে আঙুল রেখে এই কিগুলো টাইপ করুন। একই সঙ্গে ওপরের সারিতে আঙুল রেখে ওই কিগুলো টাইপ করার চেষ্টা করুন। এবার কিবোর্ডের দিকে না তাকিয়েই কিগুলো চেপে টাইপ করার চেষ্টা করতে পারেন।

৫. টাচ টাইপিং শেখা: শুরুতে টাচ টাইপিংয়ের দক্ষতা খুব কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু একবার দক্ষ হয়ে গেলে টাচপ্যাড ব্যবহার করে সবচেয়ে দ্রুত টাইপ করা যায়। টাচ টাইপ শিখতে খুব ধীরে কিবোর্ডের দিকে না তাকিয়ে অনুশীলন শুরু করুন। ধীরে ধীরে আপনার টাইপের গতি বাড়ান। শুরুতে কঠিন মনে হলেও লেগে থাকুন। ধীরে ধীরে দ্রুত টাইপ শিখে যাবেন।
৬. অনুশীলন চালিয়ে যান: দ্রুত টাইপ শেখার জন্য অনুশীলনের বিকল্প নেই। যত টাইপ করবেন, তত দ্রুত ও নির্ভুল টাইপ করা শিখে যাবেন। তবে এ জন্য ধৈর্য থাকতে হবে। সূত্র: ম্যাশেবল, টাইমস অব ইন্ডিয়া।